দার্জিলিং, স্বপন পাল
ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর , ফুড সেফটি , বিভাগ ও লিগেল মেট্রলজি এই তিনটি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আজ দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন বাজারে এবং দোকানগুলিতে একটি যৌথ ইন্সপেকশন
ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর , ফুড সেফটি , বিভাগ ও লিগেল মেট্রলজি এই তিনটি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আজ দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন বাজারে এবং দোকানগুলিতে একটি যৌথ ইন্সপেকশন সম্পন্ন করা হলো বিভিন্ন দোকানে। বিশেষ করে রেস্টুরেন্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বেকারি সামগ্রী বিক্রির দোকানগুলোতে এবং সাধারণ দোকানগুলোতে বিভিন্ন জিনিসপত্রের গুণমান, খাদ্যদ্রব্যের গুণমান প্রস্তুত করা খাদ্য বিশেষ করে পাউরুটি জাতীয় খাবার এবং রাস্তায় যে সমস্ত খাবার বিক্রি হয় তা কতটুকু গ্রহণযোগ্য এবং গুণমানের দিক থেকে কতটা উৎকৃষ্ট তা বিভাগের পক্ষ থেকে দেখা হয়। বিশেষ করে লক্ষ্য রাখা হয় খাদ্য ভেজালের দিকটি। দার্জিলিং এর বিশেষ কয়েকটি দোকানে অভিযান চালানো হয় দোকানগুলি পাউরুটি কেক বিস্কুট অন্যান্য খাবার বিক্রি করা হয় এমন দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের সময় সদস্যরা দেখতে পান কোথাও ফুড লাইসেন্স কোথাও বা ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি দোকানে ডিসপ্লে করা নেই এমনকি কয়েকটি দোকানে সদস্যরা ক্যাশ মেমো চাইলে তারা দেখাতে পারেননি। কোথাও কোথাও খাদ্যদ্রব্য বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় দ্রব্যের গায়ে বেস্ট বেস্ট বিফোর ইউজ কথাটি লেখা নেই। ১৯৮৬ সালের ভারত সরকার যে কনজিউমার কমোডিটি অ্যক্ট এনেছিল তা
বাজারের দোকানগুলির দোকানদাররা মানছে না বলে কমিটির সদস্যদের মন্তব্য। প্যাক্ট সামগ্রী মুখ বন্ধ না করেই এবং এক্সপায়ারি ডেট এবং দাম না লিখেই বাজারে সেই সমস্ত বেকারী সামগ্রী বিভিন্ন দোকানগুলি বিক্রি করছেন। আজ সংযুক্ত বিভাগের পক্ষ থেকে দোকানদারদের সতর্ক করা হলো । আগামী দিনে এইরকম কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকলে বিভাগের পক্ষ থেকে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে দার্জিলিং এর মাছ বিক্রেতারা খবরের কাগজে মুড়িয়ে মাছ মাংস ক্রেতাদের গছিয়ে দিচ্ছেন এ বিষয়েও ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের সহ অধিকর্তা শ্রীনিলয় সরকার দোকানদারদের সতর্ক করলেন যে তারা যেন খবরের কাগজে মুড়িয়ে মাছ বিক্রি না করেন প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানালেন এ খবরের কাগজে কালো কালি থাকে।
এই কালো কালি যদি মাছ-মাংসের সঙ্গে মিলে যায় তাহলে বিশেষ ক্ষতি হতে পারে আমাদের শরীরে। শ্রী বিজয় কুমার কুমাই জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক জানালেন কেন আজ তারা এই অভিযান চালিয়েছিলেন এই অভিযান আগামী দিনেও চলবে, আমরা ক্রেতাদের সুরক্ষার স্বার্থেই কাজ করে চলেছি। দার্জিলিং এর বিভিন্ন বাজারে ক্রেতারা জিনিসপত্র কেনার পর প্রায়ই অভিযোগ জানাতেন ওজনে কম দেওয়া হয়। এই পরিপেক্ষিতে আজ অভিযানের সময় দোকানদারদের ওজন করার যন্ত্র গুলি পরীক্ষা করা হয়। আজকের এই অভিযানে অংশ নেন শ্রী নিলয় সরকার সহ অধিকারটা কেতা সুরক্ষা বিভাগ দার্জিলিং, শ্রী বিজয় কুমার কুমাই শ্রীমতি পপি রায় উপভোক্তা কল্যান আধিকারিকরা এবং বিশেষ সদস্য শ্রী স্বপন পাল।