হারানো মানিব্যাগ উদ্ধার করল পুলিশ।
রিপোর্ট: তরিকুল সেখ,
গ্লোবাল নিউজ, জঙ্গিপুর,
৫ই মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার;
পুলিশের মানবিক কাজে খুশি হয়ে প্রশংসায় এক মহিলা।
সব পুলিশ কিন্তু একই ধরনের হয় না, কিছু কিছু পুলিশ সামাজিক কার্যকলাপও করে থাকে- মন্তব্যটি এক মহিলার, কিন্তু কেন এক মহিলা পুলিশের প্রসঙ্গে এই ধরনের মন্তব্য প্রকাশ করলেন অনেকেরই মনে প্রশ্ন হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নিন আসলে বিষয়টি কি!
বীরভূমের সিউড়ি বাস স্টপেজ থেকে এক মহিলা স্টেট বাস ধরে রামপুরহাটের দিকে আসছিল পরীক্ষার জন্য। আর রামপুরহাট আসার সময় মহিলার মানিব্যাগ যে কখন চুরি হয়ে যায় কিন্তু মহিলা তার টেরই পাননি। মহিলার মানিব্যাগ চুরি করে চোর টাকা পয়সা নিয়ে মানীব্যাগটি ফেলে দেয় আর সেই মানিব্যাগটি ওমরপুরে এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মী ডিউটি করার সময় লক্ষ্য করলেন এবং ট্রাফিক পুলিশের কাছে নিয়ে আসলেন। ট্রফিক পুলিশের ওসি মানিব্যাগটি খুললেই অবাক হয়ে পড়েন কারণ এই মানিব্যাগে টাকা-পয়সা না থাকলেও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কিছু কার্ড রয়েছে যা মহিলাকে অনেক সমস্যার সম্মুখে পড়তে হবে এবং এটিএম কার্ড আধার কার্ড ভোটার কার্ড থেকে বেশ কিছু কাজ রয়েছে। এরপর কার্ডে একটি মোবাইল নম্বর দেখতে পান ট্রফিক ওসি এবং সেই নম্বরে কল করে ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে, ওই মহিলার নাম বাওলি নাথ এবং তাঁর বাড়ি বর্ধমানের কালনায়। ট্রাফিক ওসি ওই মহিলাকে ফোন করে প্রমাণ সমেত আসতে বলেন ওমরপুর ট্রাফিক অফিসে।
মহিলা ওমরপুর ট্রাফিক অফিসে এসে কার্ডগুলো পেয়ে খুবই খুশি হন এবং আনন্দিত হন পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশের এরকম তৎপরতায় মুগ্ধ হয়ে পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ করতে লাগলেন এবং অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন।
তিনি জানান যে, মানিব্যাগটা হারিয়ে যাওয়ায় আমি সিউড়ি থানায় ও গেছি এবং সেখানে মিসিং ডাইরি ও করি কিন্তু যখন ওমরপুর ট্রাফিক পুলিশের কাছ থেকে ফোন পেলাম তখন মিসিং ডাইরি প্রত্যাহার করি।
মহিলা আত্মহারা হয়ে পুলিশ সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, পুলিশ শুধুই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে তা কিন্তু নয়, পুলিশ সমাজে অনেক প্রকারের মানবিক কাজও করে থাকে যা আমি নিজেই আজকের দিনে সবচেয়ে বড় উদাহরণ।