Special Correspondent,
Global Newz, Kolkata,
Monday,4thDec’2023,
কবিতা: কবি মধুমিতা রানার অকাল প্রয়াণে
[ সম্পাদক সুশান্ত পাঁড়ুই, সিঙুরের মুদ্রিত পত্রিকা মুক্ত বলাকা-এর হোয়াটসাপ গ্রুপ পত্রিকার সদস্য কবি মধুমিতা রানার অকাল মৃত্যুতে ( ৩ ডিসেম্বর ২০২৩) লেখা। ওনার ছবির হার্দিক মর্মস্পর্শীতা ও স্বপ্ন উড়ান-২ পত্রিকায় “কৃষ্ণচূড়া স্মৃতি” কবিতা আমায় মুগ্ধ করে। কোনো পরিচয় ছিলনা। গ্রুপে ওই মুদ্রিত কবিতার ছবি পৃষ্ঠা দেখে সেটা পড়ে তা থেকে এই অনুভূতি। খুব shock পাই। উনি একজন কবি-সাহিত্যিক ও গীতিকার। ]
|| যে-কোনো জনের মৃত্যুতে এটি চলতে পারে। মিশ্র পংক্তির অন্তমিলে মুক্ত ঘুর্নন ছন্দে লেখা ||
——————————–
ঋদেনদিক মিত্রো
কেন আসো,
আর কেন চলে যাও,
কাকে কেন ঘৃনা করো,
কাকে ভালোবাসো,
তারপর একদিন বলে যাও :–
আসছি।
আমরা তখন কেঁদে ভাসছি,
যাচ্ছ কোথায় তুমি আমাদের ছেড়ে?
এত সোজা নাকি আসা আর যাওয়া,
সকল স্বপ্ন, উচ্চাসা,
শেষ ঘুমের কাছে যায় হেরে,
এর নাম মৃত্যু নাকি?
কোন্ অনন্তে আড়ালে হারিয়ে যাওয়া,
তুমি কি তাতেই হলে সুখি?
বাল্য শৈশবের কত দুষ্টুমি,
কৈশোর ও যৌবনের বেপরোয়া চুপিচুপি —
কত কী রঙ্গীন খেলা,
তারপর পরপর সেইসব দূরে ছুঁড়ে ফেলা,
হয়েগেলে নিরেট সংসারি,
সেও এক আলাদা জীবন কথা মালা,
বুকের ভিতরে কাঁদে কত জ্বালা,
আবার যদি বা ফিরে পাওয়া যেত —
সেই বাল্য, শৈশব ও কৈশোর যৌবন,
ভাবতে-ভাবতে সারা হয়ে যায় —
খেলার সময়,
কে যেন কাছে এসে বলে —
অনেক হয়েছে, আর নয়।
তারপর সে তোমার মাথায় হাত দিয়ে
আদর করেই বলে — এবার ঘুমিয়ে পড়,
তুমি আর কারো কথা ভাবলে না,
ঘুমিয়ে পড়লে বিনয়ে, সম্ভ্রমে ঘুমঘোর।
অমনি তখন সবাই কাঁদতে থাকি,
তুমি কি এভাবে দিলে আমাদের ফাঁকি?
আমরা বসে থাকি,
জানি তুমি আর আসবেনা,
তবু বসে থাকি– এর নাম আশা,
তুমি চলে যেতে-যেতে —–
দূর থেকে মুখটা ঘুরিয়ে —
মৃদু হেসে হাত নেড়ে বললে —
এর নাম ভালোবাসা।
——————————————–
( রাত ২:৪১, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩,)
ঋদেনদিক মিত্রো (Ridendick Mitro), পেশায় কবি-উপন্যাসিক-গীতিকার- কলামিস্ট। কলকাতা।