১৪ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে, আর এই দিন এই স্কিল ইন্ডিয়ার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা সামিল হলেন আন্দোলনে।। পাচ্ছেন না ন্যায্য অধিকার বারবার তাদের বঞ্চনা করা হচ্ছে তার দাবিতে একরাশ যন্ত্রণা বুকে নিয়ে তালিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ীর সামনে ধরনা করলেন তারা। সীমাহীন বঞ্চনার কথা তারা তুলে ধরতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অথচ সেখানে পেলেন ব্যাপক প্রহার। টেনে হিচড়ে তাদের চ্যাংদোলা করে তোলা হয় পুলিশের ভ্যানে।
কাউকে আবার চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে তোলা হয়। এতে মহিলাদের জামাকাপড় ছিড়ে যায় এমনকি কাউকে আবার শ্লীলতাহানি করার অভিযোগও ওঠে। কিন্তু তারা কোন অপরাধ করেনি বরং ন্যায্য দাবিতে তারা আন্দোলন করেছেন। তারা চিৎকার করে বলেন আমরা বাঁচার জন্য লড়ছি আর এই লড়াইতে আমরা নিশ্চয়ই বাঁচবো। অধিকার আদায়ের জন্য এতগুলো নিষ্পাপ প্রাণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিনা পারিশ্রমিকে গত ৬ বছর ধরে বিভিন্ন বিদ্যালয় তারা ছাত্র ছাত্রীদের পড়িয়েছেন।
তবে কেন তারা তাদের ন্যায্য অধিকার পাবেন না কেন স্থায়ী শিক্ষকদের মতন বেতন পাবেন না! স্কিল ইন্ডিয়ার কম্পিউটার শিক্ষক -শিক্ষিকা ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের নিয়ে ভাবছে না রাজ্য সরকার। তাদের সঙ্গে করা হচ্ছে নির্মম অত্যাচার। তাই তারা এদিন তাদের অধিকার আদায়ের জন্য পথে নেমেছেন তাদের একটাই দাবি রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে তাদের প্রতি একটু সদয় হন। দিনের পর দিন করুণাময়ী গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের কান্না পৌঁছায়নি কালীঘাটে। রাজ্য সরকারের স্কিল ইন্ডিয়ায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক যুবতীদের দাবি তাদের ন্যূনতম বেতন দেওয়া হোক।
একইভাবে তাদের স্থায়ী শিক্ষকের মর্যাদা দেওয়া হোক।পাঁচ বছরের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর গত ২৪.০১.২০২৩ এ এই শিক্ষক -শিক্ষিকাদের ফাইল এর মেমো নাম্বার পড়েছে যেটা অর্থ দপ্তরে আটকে রয়েছে আর সেই কারণেই তারা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি গেছিলে জানাতে।এখনো পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির সামনে ধরনায় বসে রয়েছেন তারা তাদের দাবি পূরণ করতে হবে এই শ্লোগানে।
৪১ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে যার মধ্যে রয়েছেন পুরুষ ও মহিলা, যারা হলেন তাদের নেত্রী কানিজ ফতেমা,সায়না বানু রুনা লায়লা সাইদুল আলম সাবির মন্ডল বিপ্লব দাস, মিলন পাল, গৌতম দে, তাসমিনা খাতুন, দীপ্তি রানি বিশ্বাস, কৃষ্ণ কান্ত সরকার, অরবিন্দ ধারা সহ আরো অনেকে। তাদের মধ্যে তাদের কয়েকজনের জামা কাপড় ছিঁড়ে যায়, রুনা লায়লা ও কৃষ্ণ কান্ত সরকারের ডান হাতে খুব জোর আঘাত লাগে। তবুও তারা রাস্তা ছাড়ে নি। তাদের ভাষায় এ লড়াই বাঁচার লড়াই এ লড়াইয়ে তারা জিতবেই।