বাংলাদেশের ওপর ” বিশ্ব রুপের বাংলাদেশ” গান বের করে ভারতের তিন বাঙালী জনপ্রিয়
—————————– ———————-
সইদুল ইসলাম, globalnewz.online
[ প্রথম যুগ্ম গীতিকার – ওয়াহিদা খাতুন, Wahida Khatun ]
শুরু করছি ওয়াহিদা খাতুন দিয়ে। একজন নারী হয়ে কত জীবন যুদ্ধ করে এগোনো। তাঁর বাংলা ও ইংরেজী সংগীত আজ শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশ, ব্রেজিল, আমেরিকা, ইংল্যান্ড সহ নানা দেশে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ২০২১ সালে বিখ্যাত মিউজিক কোম্পানী “যোডিয়াক মিউজিক ” ( Zodiak Muzik) দ্বারা ঘোষিত বাংলাভাষায় গীতিকার নেবার পরীক্ষায় তিনি পাস করেন, ও সারা বাংলা থেকে পাস করা মাত্র ১৫ জন (পনের) অডিশন-এ পাস করা গীতিকারদের মধ্যে একজন শুধু নয়, একমাত্র ইসলাম পরিবার থেকে তিনিই এই কঠিন পরীক্ষায় পাস করেন। যদিও আগে থেকেই তিনি একজন কবি হিসেবে পরিচিত, ভালো সনেট লেখিকা,ও সেই অভিজ্ঞতা, মনযোগ, ও চর্চাকে কাজে লাগিয়েছিলেন। বিচারক মন্ডলীও নিরপেক্ষ হওয়ায় এই অপরিচিত মুখকে পাস করিয়েছিলেন।
কলকাতায় কুমার চঞ্চল, যিনি এই নামে সংগীত জগতে পরিচিত, সরকারি নাম অমল রঙ, তিনি পেশায় একজন প্রতিষ্ঠিত গায়ক, সুরকার ও মিউজিক ট্রেনার। বেশ কয়েকটি ইংরেজী গানে সুর দিয়ে তিনি আজ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সফল সুরকার ও মিউজিক এরেঞ্জার। ট্রেনিং ক্ষমতাতেও খুব দক্ষ। এমন একটি মানুষ বাংলাদেশের ওপর সংগীত নিয়ে কাজ করতে চাইলে সেটা থেকে আলাদা কিছু আশা করা অনুচিত হবে না।
এই সংগীত লেখানো হবে কিভাবে কাকে দিয়ে। সংগীতের ওপর একটা পরীক্ষা নিরিক্ষা মূলক কাজ করার আয়োজন করা হলো। একটি দেশ বা সভ্যতা তৈরি হয় নারী ও পুরুষ নিয়েই। তাই একজন নারী ও একজন পুরুষ দিয়ে বাংলাদেশের উপর গান লেখানো হলো। আরো অন্য গীতিকারদের দিয়েও তিনি এইরকম কাজ করতে চান।, সময় সুযোগ হলে। কারন, লেখার মান উপযুক্ত না হলেও সেই কাজ নিয়ে এগুনো যাবে না। যুগ্ম গীতিকারের কলমে চাই চিন্তা ও প্রকাশ শৈলীর সমন্বয়।
[ সুরকার ও কন্ঠ শিল্পি – কুমার চঞ্চল, Kumar Chanchal, as official Name Amal Rang ]
যাই হোক, বাংলাদেশের উপর যে-সংগীতটি লেখানো হোলো দুজন গীতিকারকে দিয়ে, ওয়াহিদা খাতুন সহ আর একজন। তিনি কলকাতার ঋদেনদিক মিত্রো।
ওয়াহিদা খাতুন যেমন একজন শিক্ষাবিদ, একই সাথে ইংরেজী ও বাংলাভাষায় গীতিকার ও কবি, বিখ্যাত একটি মিউজিক কোম্পানির ষ্টাফ গীতিকারদের একজন, যাঁর একশত কুড়িটি মত বাংলা সনেট বের করছে কলকাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশক।
তেমনি ঋদেনদিক মিত্রো আগে থেকেই দেশে বিদেশে পরিচিত কবি-উপন্যাসিক-গীতিকার- কলামনিষ্টদের মধ্যে একজন। পেশায় তিনি লেখক ইংরেজী ও বাংলাভাষায়। অনেক গ্রন্থ আছে। বিদেশি প্রতিনিধিদের দ্বারা তাঁর অনেক গ্রন্থ উদ্বোধন করা হয়েছিল। গুয়েতামালার রাষ্ট্রদূত, রাশিয়ার ভাষাবিদ, কোষ্টারিকার প্রতিনিধি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO)বিজ্ঞানী,, এঁরা অনেকেই ঋদেনদিকের বই উদ্বোধন করেছিলেন।
তাছাড়া, বাংলাদেশের ওপর অনেক বাংলা ও ইংরেজী কবিতা ঋদেনদিকের বেরিয়েছিল এবং বাংলাদেশের উপর বেরুবে একটি পূর্ণ কবিতার গ্রন্থ মৌলিক ইংরেজী ও বাংলা কবিতা দিয়ে। জানা গেলো, প্রকাশক ধীরে-ধীরে কাজ করছেন।
এই দুই গীতিকার দিয়েই লেখানো হোলো, “বিশ্ব রুপের বাংলাদেশ” সাংগীতটি। নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যদিয়ে এর পূর্ণতা দিয়ে এটি গাইলেন নিজের সুরে কুমার চঞ্চল। সংগীতটি বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ভারতেও পাচ্ছে।
কারোর আবার মতামত হোলো, এই গান শুনে তাঁর ঘুম ভালো হয়েছে, শরীরের মধ্যে শান্তি এসেছে।
[ দ্বিতীয় যুগ্ম গীতিকার – ঋদেনদিক মিত্রো, Ridendick Mitro ]
এখানে একটা কথা বলা দরকার, এই ওয়াহিদা খাতুনের বিশ্ব শান্তির জন্য ইংরেজি গান ” We are all brothers in this world” বিশ্ব জুড়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে পরপর। সেটিও এই World Music Melodies চ্যানেলে বেরিয়েছে। এটির সুরকারও কুমার চঞ্চল। গায়িকা মৌ আচার্য। আসলে ভারত থেকে এইসব কাজ করে এগুনো খুব অসুবিধের মধ্যে দিয়ে এগুতে হয়। বিশেষ করে এই বাংলা থেকে। প্রচার ও প্রসার ও নানা দিক থেকে অনেক রকম বাধা আসে, যার ফলে সাবলিল হয় না এগিয়ে যাবার পথ।
“বিশ্ব রুপের বাংলাদেশ “সংগীতটি নিয়ে সব তথ্য সহ পুরো গানটি দেওয়া হল।
সংগীত – বিশ্ব রুপের বাংলাদেশ
—————————– ————–
সুর ও কন্ঠ – কুমার চঞ্চল ( Kumar Chanchal)
যুগ্ম গীতিকার- ওয়াহিদা খাতুন (Wahida Khatun)
এবং
ঋদেনদিক মিত্রো (Ridendick Mitro)
রেকর্ড ঃঃ Voice Take Studio, Budge Budge, Kolkata, সুভাস মল্লিক
ভিডিও এডিট – মাষ্টার শুভ
YouTube channel -World Music Melodies
Link : https://youtu.be/9FCBEAmNtW8
বিশ্ব রুপের বাংলাদেশ,
ও আমার বাংলাদেশ,
ঝর্ণা, নদী, সাগর, পাহাড়,
ছয়টি ঋতুর রূপের বাহার,
ভোর রাঙানো সোনার রবি —
ফুটিয়ে তোলে বিশ্ব ছবি,
মনে জাগে সুখের আবেশ,
ও আমার বাংলাদেশ।।
বাংলাদেশের আলোছায়া,
ফুটিয়ে তোলে বিশ্ব মায়া,
বীর,বীরাঙ্গনার স্মৃতি,
জ্ঞানী, গুণীর সমাবেশ,
ও আমার বাংলাদেশ।।
বাংলা আমার প্রানের ভাষা,
আমার সকল স্বপ্ন আশা,
প্রতিদিনের সকাল যেন —
সূর্য-শিশুর হাসির রেশ,
ও আমার বাংলাদেশ।।
এই দেশেতে সেই ইতিহাস,
যা থেকে পাই প্রানের বিকাশ,
ঘুম ভাঙানো পাখির গানে —
ভালোলাগার নেই তো শেষ,
ও আমার বাংলাদেশ।।।
জানা গেলো, এই দুই গীতিকারের যুগ্ম লেখা সংগীত আরো দু একটি আছে, কিন্তু কাজটি এক ঘেয়ে হতে পারে, তাই সুরকার কুমার চঞ্চল নতুন কয়েকটি মুখ খুঁজছেন, যাঁদের নিয়ে এই রকম যুগ্ম লেখার কাজ করতে চান, যদি সঠিক ভাবে সমন্বয় রেখে তাঁরা কাজটি করতে পারেন। সেই সব গান কোন চ্যানেলে যাবে, সেটা গানের বিষয় ও পরিস্থিতির ওপর নির্ভরশীল। আসলে কাজটাই আগে করা দরকার সুযোগ এলে।I
………………………..…………………………………..
…………………….…………………………………………