কবি কাকলি সাহা ও কবিতা
(Poetess Kakoli Saha and her Poem)
Special Bureau, Kolkata
কাকলি সাহা ( Kakoli Saha), কলকাতার মেয়ে, দুবাইতে ছিলেন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ইঞ্জিনিয়ারিং এর মত কবিতাকেও নিয়েছেন যত্নের কাজ। শখ নয়। তাই হয় তো এমন মাপ দিয়ে শব্দ ও চিন্তার গভীরতা নিয়ে আসতে চান লেখাতে। আমরা তাঁর থেকে অনেক কিছু আশা করি সাহিত্যে। কারন, তিনি শুধু ভালো লিখছেন বলে নয়, আরো কারন হোলো —-
প্রসংগক্রমে বলতে হচ্ছে মেয়ে ও বাবার কাজের ধারা একই।মা-ও ছিলেন তাই। বাবা ও মা দুজনেই কবি। মা গৌরি দেবী অসুখে অসময়ে এই ২০২০ সালে মারা যান। বাবা সুবল নস্কর একজন প্রতিষ্টিত শিশু সাহিত্যিক। যদিও প্রথম জীবন শুরু হয় উপন্যাস দিয়ে। এবং পিতা একই সাথে রাজ্যের সেরা একজন সাহিত্য-সংগঠক — সোনারপুর বংগ শিশুসাহিত্য অংগন”। আগে সুবল বাবু ছিলেন ২০০৫-২০১১ সাল অবধি “নিখিল ভারত শিশু সাহিত্য সম্মেলন” সংস্থার দক্ষিন চব্বিশ পরগনার জেলা সম্পাদক ছিলেন। রাজ্যের দায়িত্বেও ক্যাসিয়ারের দায়িত্ব বহন করেছেন। পরবর্তীতে সুবল বাবু ২০১১ থেকে নতুন সংগঠন “সোনারপুর বংগ শিশু সাহিত্য অংগন”- এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। উত্তর সোনারপুর ” নয়াবাদ বইমেলা”র প্রথম উদ্যোগে ছিলেন ও যুগ্ম সম্পাদকরূপে পরিচালনায় আছেন। জেলায় বহু মানুষকে সাহিত্যের দিকে নিয়ে আসায় সুবল বাবুর মেহনতি তুলনাহীন। সেই মত বড়-বড় অনুষ্ঠান করেন, নিজের সংস্থা থেকেও নানা মর্যাদা সম্পন্ন পুরস্কার দেন। এইসব প্রমাণ তিনি আজো দিয়ে যাচ্ছেন। একাদশ শ্রেনীর ছাত্র থাকা কালীন ” মেঘ ভাংগা রোদ্দুর ” উপন্যাস লিখেছিলেন, কিন্তু নানা জটিলতায় সেগুলি প্রকাশ পায়নি তখন। প্রেসে আটকে যায় , অনেক ঘটনা ঘটার পরে সেটা প্রকাশ পায় কুড়ি বছর পরে ২০০০ সালে। শিশু সাহিত্যের জন্য পেয়েছেন পুরস্কার। বের করেন পত্রিকা। এই সুবল নস্কর, কখনো বা ছদ্মনাম ” ত্রিকূট” হিসেবেও লিখেছেন।
এই রাজ্যে ইনিই প্রথম সাহিত্য সংগঠক বলে আমরা জেনেছি, যিনি প্রথম ভেবেছিলেন সাহিত্য সভা মানে দারিদ্রের ছবি নয়। লেখক মানে সভাতে চা-বিস্কুট ও একটু খিচুড়ি খেয়ে আসার জীবন নয়, লেখক মানে এক ডজন রকমের খাবার দিয়ে ভাত খাবে, ও টিফিন করবে সেই রকম। খাবার মান দেখে কারোর যোগ্যতা বিচার হয় না, ঠিক, কিন্তু আমরা বলছি তিনি লেখকদের সামাজিক মর্যাদা বাড়াতে কত কিছু ভেবে স্পন্সর ঠিক করে রাজকীয় খাবারের ব্যাবস্থা করেন।
আমরা কাউকে মহামানব বানাই না, কিন্তু গুণগুলিকে তো অস্বীকার করতে পারি না। সাধারন বেড়ালদের জন্য খচচ করেন মাসে হাজার-হাজার টাকা।
তাঁদের মেয়ে কাকলি। আশা করব অনেক কিছু। শুধু সাহিত্য নয়, প্রযুক্তিবিদ্যা নয়, পশু পাখিদের জন্য পরিকল্পিতভাবে অনেক বড় কোনো প্রকল্প করে তিনি অনেক সুখি করতে পারেন জগতের এইসব অসহায় জীবদের। এই আশা করব।
বাংলা অক্ষর লিখতে ঠিক পারেন না বলেই বাংলাভাষা লেখেন ইংরেজিতে। সেটাকে উনার পিতার সহযোগীতায় বাংলা অক্ষরে এনে প্রকাশ করা হলো। লেখার শৈলীতে বাবা ও মায়ের চেয়ে আলাদা অবশ্যই।
জীবন এক রহস্য
[ Jiban ek Rahasya, (Life is a mystery), a Bengali Poem by Kakoli Saha ]
——————————-
কাকলি সাহা
জীবন এক রহস্য! — মায়াময়।
কখনো হাসায়,কখনো বা কাঁদায়,
তবু আমরা থেমে নেই।
এগিয়ে যাই —
সেই অজনা কোন আশার দিকে।
হয় তো বা সেই আশা রয়ে যাবে নীরবে,
তবুও আমরা এগিয়ে যাই,
যখনি তুমি থামবে —
অজানা এক ভয় এসে বলবে —
তুমি কে?
তোমার নেই কোনো অস্তিত্ব,
শুধু তুমি এক মোহ।
হয় তো আমি নিভে যাবো একদিন —
ঠিক তোমারই মতো,
তবুও আজকে এই বৃষ্টি ভেজা রাত,
আজো আছে, কালও থাকবে।
শুধু রয়ে যাবে স্মৃতি,৷
একজন থেকে আর একজনে
নীরবতা —
শুন্যের মাঝে।