নিজস্ব প্রতিনিধি, সুতি-
মোঃ ইজাজ আহামেদ একজন কবি, লেখক, সম্পাদক, সাংবাদিক, শিক্ষক, পিস অ্যাম্বাসেডর। তিনি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সংস্থা থেকে অনেক সম্মাননা পেয়েছেন। কয়েকটি দেশের সংস্থা থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট পেয়েছেন। তিনি বেশ কয়েকটি দেশের সাহিত্য বিষয়ক, শান্তি ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনের অ্যাম্বাসেডর, সদস্য, এডমিন ও মডারেটর পদ লাভ করেছেন। তাঁর লেখা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তিনি কবিতার উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন, তিনি বিজ্ঞান কবিতা ও ইজাজ্যান কবিতা(ইজাজীয় কবিতা : পনেরো পংক্তির কবিতা। পাঁচ পংক্তির তিনটি স্তবক। মিলবিন্যাস-রীতি হল – ক খ ক খ ক, ক খ ক খ ক, ক খ ক খ ক) তৈরি করেছেন। তিনি দেশ-বিদেশ থেকে যেসব সম্মাননা পেয়েছেন এবং পদ লাভ করেছেন, সেগুলি তুলে ধরা হলো-
পুরস্কার : বিদ্যাসাগর স্মৃতি সম্মাননা ২০১৯ (আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ), সানন্দ সাহিত্য সম্মাননা ২০১৯-২০২০( আলোক জ্যোতির প্রদীপে এবং সানন্দ মিলন তীর্থ মিশন), নব পরিচয় সাহিত্য সম্মাননা-১৪২৬ (নব পরিচয় পত্রিকা), সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন প্রদত্ত রাজা রামমোহন রায় স্মৃতি স্মারক সম্মান, নূর মহম্মদ স্মৃতি সম্মাননা, (ধুলিয়ান A.B নাট্যদল ও নুর পরিবার), সাহিত্যিকরত্ন( ), কবিরত্ন(ভোরের কোকিল সাহিত্য পরিষদ), বাংলাদেশের মাসিক চিরকুটে সাহিত্য পত্রিকা থেকে ‘মহাকবি কায়কোবাদ সাহিত্য পদক-২০২২, ইকরা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক কবিতা সম্মেলন ২০২২- এ বাংলাদেশ বেস্ট অ্যায়ার্ড, ইকরা ফাউন্ডেশন থেকে ‘আইকন অফ পিস অ্যায়ার্ড’, ‘এশিয়ান প্রেস সাহিত্য সম্মান ২০২২'(Asian Press Books), ১৮ বছর পূর্তি কবি মিলনমেলা ও কবি জীবনানন্দ দাশ সাহিত্য সম্মাননা- ২০২২, নবকণ্ঠ সম্মাননা স্মারক, প্রতিভার উন্মেষ কবি সম্মাননা-২০২১, বেশ কয়েকটি দেশের কয়েকটি সংস্থা থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট পেয়েছেন-(মিশরের ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’ থেকে, প্যালেস্টাইনের ‘ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোম্যাটিক অর্গানাইজেশন ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পিস’ থেকে, আলজেরিয়ার ‘লাজার ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্কশপ ফর আর্টস অ্যান্ড পিস’ থেকে), ‘আমান অ্যাসোসিয়েশন ফর চাইল্ড অ্যান্ড ইয়ুথ রাইটস তিউনিসিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস অ্যাফেকশন অ্যাসোসিয়েশন মন্ডিয়েলে দেস ড্রয়েটস ডি ল’হোমে মাওয়াদা’ থেকে ‘উচ্চ সম্মানসূচক ডিগ্রী’, ‘ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অফ পিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এক্সপার্টস’ থেকে ‘হাইয়ার অনারারি ডিগ্রী’, আল হাজর একাডেমি ফর অ্যারাবিক পোয়েট্রি অ্যান্ড লিটেরেচার’ থেকে ‘সার্টিফিকেট অফ লিটেরারি প্রফিসিয়েন্সি’ মরক্কোর ‘ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি ফর কালচার’ থেকে ‘গ্লোবাল পোয়েট্রি পাইওনিয়ার সার্টিফিকেট’ এবং ‘সার্টিফিকেট অফ ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড পোয়েটিক এক্সসেলেন্স’, ‘ক্রিয়েটিভিটি অফ হরিজনস ফোরাম’ থেকে ‘সোস্যাল মিডিয়া ক্রিয়েটারস ২০২২’ সম্মাননা, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অফ ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড ক্রিয়েটার্স’, ‘ক্রিয়েটিভ হরিজনস কাপ’, ‘দ্য ক্রিয়েটিভিটি ক্যাসেল কাপ’, ‘ইন্টারন্যাশনাল আর্ট অ্যান্ড পোয়েট্রি ফোরাম ফর পিস’ সম্মাননা, ‘ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ডেভেলপমেন্ট অফ গুড লিভিং জাস্টিস অ্যান্ড পিস হিউম্যান রাটস’ থেকে সম্মাননা, ‘আল ইয়ামামাহ ফাউন্ডেশন ফর কালচার অ্যান্ড লিটেরেচার’ থেকে সম্মাননা, ‘দ্য বুক সং’ থেকে ‘দ্য বুক সং ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্ল্ড এনভায়রনমেন্ট ডে অ্যায়ার্ড’, ‘আল মাশরেক কালচারাল একাডেমি ফর পিস’ থেকে সম্মাননা, ‘ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অফ কালচার অ্যান্ড আর্টস’ থেকে সম্মাননা ইত্যাদি বিভিন্ন সম্মাননায় সম্মানিত হয়েছেন।
যেসকল সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন (পদবীসহ) : সম্পাদক- স্বপ্নের ভেলা সাহিত্য পত্রিকা, সহ সম্পাদক- ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সুবর্ণ’পত্রিকা, কথাবিতান পত্রিকা, উত্তরবঙ্গ সম্পাদক – দ্য কাদেরী টাইমস।
মডারেটর-লন্ডন পোয়েটস্ ক্লাব'(ইংল্যান্ড), মডারেটর ও অ্যাম্বাসেডর- ইন্টারন্যাশনাল লিটেরেসি স্টাডি গ্রুপ(বাংলাদেশ) অ্যাম্বাসেডর- নাইজেরিয়ার ‘জেনেসিস ওয়ার্ল্ড রাইটার্স কমিউনিটি’, গ্রুপ অ্যাম্বাসেডর- অ্যাসোসিয়েজাইওন কালচারাল পার লা পেস এল উমানিটা(রোমানিয়া), ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাম্বাসেডরস অ্যাকাডেমির সদস্য(মিশর), অ্যাম্বাসেডর- ইকরা ফাউন্ডেশন(জেরুজালেম), অর্থ বিষয়ক সম্পাদক- জয় বাংলা সাহিত্য পরিষদ( বাংলাদেশ), সদস্য- গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডরস অফ সাস্টেইনাবিলিটি(দুবাই), পিস অফ মেম্বার অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস(মিশর), মেম্বার অফ ফেদার অ্যান্ড এক্সটেন্ডার হিউম্যানিটি অ্যাকাডেমি অফ ইউরোপ এন্ড তুর্কি ব্রাঞ্চ, মেম্বার অফ গ্লোবাল ফ্রেন্ডস ক্লাব, অ্যাম্বাসেডর ফর ওয়ার্ল্ড পিস- ফাউন্ডেশন মারিয়া গ্লাডেজ, মেম্বার অফ ওয়ার্ল্ড স্পিরিচুয়াল হিউম্যানিটি অ্যান্ড পিস লিটেরারি অ্যাসোসিয়েশন(বাংলাদেশ)।
বিজ্ঞান কবিতা:
কাব্যগ্রন্থ-মনের পাণ্ডুলিপি
কবিতা- কাল
মোঃ ইজাজ আহামেদ
পৃথিবীটা আজ নিদারুণ যন্ত্রনায় ভুগছে,
তার দেহ ক্লিষ্ট বিবিধ ব্যাধিতে;
মানুষের মনও আজ পীড়িত;
সাম্প্রদায়িকতা,শোষণ,অত্যাচার,রাজত্ব করছে মানুষের মনের রাজ্যে;
তারা দ্রুতবেগে ছুটে চলেছে মনের পথে পথে,
মনের এক দেশ থেকে আরেক দেশ জয় করে চলেছে অনায়াসে;
সম্প্রীতির, মানবতার সৈনিকরা দুর্বল হয়ে পড়েছে;
থামাতে পারছেনা তাদেরকে।
আমার বিশ্বাস আবার সম্প্রীতির, মানবতার সৈনিকরা শীঘ্রই শক্তিশালী হয়ে উঠবে;
নিজেদের দেহ-মনে মানবতার-সম্প্রীতির সালোক সংশ্লেষ করবে;
তাদের পথ অবরুদ্ধ করে পরাজিত করবে।
যুগে যুগে কত পরাশক্তির উদ্ভব হয়েছে
কিন্তু কালের নিয়মে তাদের পতন ঘটেছে;
ইতিহাসের ডি এন এ তার সাক্ষ্য দিচ্ছে।
সময় প্যানেসিয়া নিয়ে এসে সকলকে আরোগ্য করবে;
সময়ের নেফ্রন তাদের শোধন করে পরিশুদ্ধ করবে।
মানবতার,সম্প্রীতির সুগন্ধে ধরণী ভরে উঠবে।
হলদে চাঁদ
মোঃ ইজাজ আহামেদ
হলদে পূর্ণিমা চাঁদ আকাশে,
মেঘেরা দূর দূরান্ত থেকে ভিড় জমিয়েছে
তারই চার পাশে
জ্যোৎস্না স্নান করবে বলে
ঠিক যেমন নদীতে লোকেরা স্নান করতে আসে;
আমার গুরু মস্তিষ্ক দিলো জাগিয়ে
তোমার- আমার সেই স্মৃতিকে;
তুমি আর আমি গোলাকার চন্দ্রের নিচে বসে
কাটিয়েছিলাম সময় এক জোছনা প্লাবিত প্রান্তরে;
কত কথাই না বলেছিলাম দুজনে,
নির্মল বাতাসের ঢেউয়ে
জ্যোৎস্না স্নাত হয়ে
কেটেছিল সময় অনাবিল আনন্দে
আর সাদা মেঘেরা জমায়েত করেছিল আদিগন্তে;
কিন্তু তুমি আমার আজ নেই পাশে;
এই দৃশ্য দেখে
আমার হলদে হৃদয়ের হৃদস্পন্দন গেছে বেড়ে,
সুষুম্নাশীর্ষক পারছেনা নিয়ন্ত্রণ করতে;
হাইপোথ্যালামাস আমার হিয়ার নীল আকাশ থেকে
খসে পড়া দুঃখের নীল তারাগুলোকে পারছেনা নিয়ন্ত্রণ করতে;
আমার মস্তিষ্কে ডোপামিন ক্ষরিত হচ্ছে;
মনে হয় যেন রক্তের হিমোগ্লোবিনও হিমোসায়ানিনে
পরিণত হয়েছে।
কবিতা- মা
মোঃ ইজাজ আহামেদ
প্রথম ছোঁয়া মা, প্রথম জগৎ মা,
পৃথিবীর রূপ রস গন্ধ দেখার আগের জগৎ মাতৃ জঠরে
জোঁকের মত বেঁচে থাকার রসদ খেয়ে বেড়ে ওঠা,
মায়ের হৃদস্পন্দন শোনা,
মাতৃ ভাষা শেখা গর্ভে থেকে,
ধরণীর আলো দেখা, বিকশিত হওয়া মাতৃ অমৃত সুধা পান করে;
সারা জীবন করলেও সেবা,
হয়না পরিশোধ মায়ের ঋণের বোঝা;
স্নেহের, দয়ার, মায়ার, প্রথম গুরুর আরেক নাম মা;
পৃথিবীর সেরা শিক্ষক মা;
নিজে না খেয়ে সমস্ত সুখ জলাঞ্জলি দিয়ে
ছেলে মেয়ের সুখের স্বপ্ন দেখে মা;
সমস্ত দুঃখ কষ্ট হাসিমুখে মেনে নিয়ে
ছেলে মেয়ের সুখ,স্বপ্ন খোঁজে মা;
জিপসির মতো
কখনও বা ভিক্ষুকের মতোও
জীবন -জীবিকা নির্বাহ করে ছেলে মেয়েদের মানুষ করবে বলে;
ছেলেমেয়ের বিপদ- আপদ ঘটলে
তাঁর নিউরোন টেলিপ্যাথির মাধম্যে বার্তা নিয়ে আসে মস্তিষ্কে;
বিচলিত হয়ে উঠে তাঁর দেহ-মন আসন্ন বিপদ সংকেতে;
যায় বেড়ে সিস্টোল ও ডায়াস্টোল,
বেড়ে যায় হৃদস্পন্দন;
মনের ক্যানভাসে তাদের জীবন্ত ছবি ফুটে উঠে ভবিষ্যৎ স্মৃতির জন্য;
তারা দুঃখ কষ্ট দিলেও এক বুক আদর, এক বুক স্নেহ,
এক আকাশ ভালোবাসা, দু- চোখ ভরা স্বপ্ন,
হৃদয়ভরা দোয়া উজাড় করে দেয় তাদের সুখ শান্তির জন্য;
মায়ের পায়ের নিচে স্বর্গ,
স্বর্গ পেতে হলে ভাই তাঁর সেবা করো।
ইজাজ্যান কবিতা-Ejajan Poem(ইজাজীয় কবিতা):
আকাশে অজস্র প্রদীপ
মোঃ ইজাজ আহামেদ
আকাশে গাঢ় অন্ধকার নেমেছে,
তার গহ্বরে অজস্র নক্ষত্র
টিপ টিপ করে জ্বলছে
দূর থেকে দেখা কোনো বাড়ির প্রদীপের মতো,
আমি তাকিয়ে আছি তাদের দিকে।
আকাশ থেকে আলো হেঁটে আসছে
আমার চোখের তারায়,
ভেসে উঠছে
গ্রহ নক্ষত্রের কত মানচিত্র মনের আয়নায়,
যত দেখি ভাবনারা বিস্মিত হয় অবাক হয়ে!
ভাবনারা প্রশ্ন লিখে
মনের খাতায়-
এই নীল গ্রহ ব্যতিরেকে আর কোথাও কি প্রাণ আছে?
মহাকাশের শেষ সীমানা বা কোথায়?
কল্পনারা তখন সেই উত্তরের স্বপ্ন আঁকে মনের ক্যানভাসে।
মনের খাতায় ভাবনারা প্রশ্ন লিখে
মহাকাশের শেষ সীমানা বা কোথায়?
এই নীল গ্রহ ব্যতিরেকে আর কোথাও কি প্রাণ আছে?
উত্তর খুঁজতে খুঁজতে কল্পনার মহাকাশযানে চড়ে চলে যায় কোনো অজানা গ্রহে
করোনাকালে বেসরকারি শিক্ষক
মোঃ ইজাজ আহামেদ
অদৃশ্য ভাইরাসের আবির্ভাব হয়েছে
নাম করোনা
সে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সারা পৃথিবী জুড়ে
প্রতিদিন বেড়ে চলেছে মৃত্যুমিছিলে মানুষের সংখ্যা
চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সবার কপালে
লকডাইন প্রায় সাড়া পৃথিবী জুড়ে
মানুষের মনে রাজত্ব শুরু করলো ভয়েরা
সেই দাপট ভীত সন্ত্রস্ত সকলে
ধীরে ধীরে সচল হল যোগাযোগ বাণিজ্য ব্যাবসা
বেসরকারি শিক্ষক ডুবতেই থাকলো বেকারত্বের সাগরে
লকডাইনের বেকারত্ব জালে আটকে দিয়েছে তাদেরকে
উদ্ধার করতে কেউ এলো না সরকারও না
নিঃসঙ্গ রইলো দুঃখের দ্বীপে
তবে ২০২১- এ সেই নীল দ্বীপ থেকে মুক্ত হয়ে তারা পৌঁছেছে সবুজ দ্বীপের প্রবেশ দ্বারে
আকাশে উৎসব
মোঃ ইজাজ আহামেদ
পড়ন্ত সন্ধ্যা
আকাশ পরেছে গোধূলির অবগুণ্ঠন
পুব আকাশে শ্বেত পোশাকে সেজেছে মেঘ বালক- বালিকারা
যেন কোনো উৎসব মিলন
চাঁদও এসেছে মুখে এক পৃথিবী হাসি নিয়ে আর পথে আছে তারারা
গোধূলি বিদায় নিল
আকাশের সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসতে লাগলো অন্ধকার
দিগন্তরেখা ক্রমশ ম্লান হয়ে গেল
কালো ছাতার মতো ঢেকে দিল রাত শরীর সবার
ক্লান্ত তারারা বিশ্রাম থেকে জেগে উঠল
দীর্ঘ পথ ভ্রমণ করে
ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল নক্ষত্ররা
রজনী ঘনীভূত হতেই উঠলো জেগে হাসি খুশি মনে
চন্দ্র ঘুরে বেড়াচ্ছিল একা একা
তাদের পেয়ে আনন্দের জোয়ার উতলে উঠল তার মনে।
তারা হাঁটছে
মোঃ ইজাজ আহামেদ
আকাশে তারারা হাঁটছে
নীচে হাঁটছে শরণার্থীরা
এক পৃথিবী দুঃখ নিয়ে
একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে তারা
বিস্ময় ভরা নয়নে
মৃদুমন্দ বাতাসের হাত ধরে জ্যোৎস্না হাঁটছে
কাঁটাতারের বেড়ায় কিংবা জলসীমায় পা বাড়াচ্ছে শরণার্থীরা
এক টুকরো স্বপ্ন সাথে নিয়ে
একটু সুখী-জীবনের স্বাদ পেতে কিংবা
প্রাণহানির তাড়া থেকে বাঁচতে
সীমান্তরেখায় আটকে পড়ছে অনেকে
অনেকে আবার গুলিবিদ্ধ হচ্ছে কিংবা
সলিল-সমাধি জোর করে তাদের কাছে নিয়ে যাচ্ছে
সহস্র আলোকবর্ষ-পথ অতিক্রম করে তারা
পাড়ি দিচ্ছে অকালে না ফেরার দেশে
মূল্যবৃদ্ধি
মোঃ ইজাজ আহামেদ
লকডাউন সবাইকে বন্দী করে দিয়েছে
আয় পলায়ন করেছে কিছু মানুষ ছাড়া
তবু মুল্যবৃদ্ধি সিংহের মতো হুঙ্কার দিচ্ছে
সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে গরিব ও মধ্যবিত্তরা
তাদের স্নায়ু দুর্বলতা অনুভব করছে
জিনিসপত্রের মূল্য ক্রমশঃ বেড়ে চলেছে
মাথায় আকাশ ভেঙে পড়তে দেখছে তারা
তবে অনলাইনে ধনীরা জোয়ারের মতো ফুলে ফেঁপে উঠছে
আর অসহায় হয়ে তাকিয়ে আছে দুর্বলরা
চোখের তারায় স্বপ্নরা আয়নার মতো চুরমার হয়ে নামছে
তাদের ভবিষৎ পথে পড়ে মার খাচ্ছে
আর রক্তাত্ব মন করছে কান্না
চোখে বর্ণান্ধতা হাঁটছে
নষ্ট হচ্ছে রক্ত কণিকা
এটাই তাদের পৃথিবী আর এই পৃথিবীর সঙ্গে থাকতে হচ্ছে
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ (কতো সালে ও কোন প্রকাশনী): ‘স্বপ্ন তরী'(২০২০, কচিপাতা প্রকাশন),বাংলা সাহিত্য ও সিনেমায় গোয়েন্দা চরিত্র,( ২০২০, চক্রবর্তী অ্যান্ড সন্স পাবলিকেশন্স), মনের পাণ্ডুলিপি (২০২১,আনন্দ প্রকাশন), হৃদ-ক্যানভাস(২০২১, Asian Press Books), অন্তরের কাব্যকথা(২০২২, Asian Press Books) এছাড়া বেশ কিছু কবিতা ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ কাব্যগ্রন্থ ও পত্রিকায় প্রকাশিত।
তাঁর প্রকাশিত রিসার্চ আর্টিকেল: একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে ‘Discovery and the Golden peak of Improvement’ এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের বইয়ে ‘Exploring New Trends and Innovations in English Language and Literature’ নামক দুটি রিসার্চ আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে।
তাঁর প্রকাশিত সম্পাদিত গ্রন্থ: কবিতার আকাশ, কবিতার অরণ্য
সত্যি কবি ইজাজ আহমেদ আমাদের গর্ব।
তার রচিত কবিতায় নিজস্বতা তৈরি করে ফেলেছেন।
বহু পত্রপত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হচ্ছে ।
আরো আরো ভালো কবিতা আশা করছি।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা।