প্রত্যন্ত গ্রাম প্রদর্শনের পাশাপাশি গঙ্গার তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শনে বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক।
সুতি : নিজস্ব প্রতিনিধি।
আমরা জানি মুর্শিদাবাদ জেলা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলার মধ্যে অন্যতম একটা জেলা। তাছাড়াও মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুলিশ জেলা বাংলাদেশের অত্যন্ত নিকটবর্তী একটি শহর।
এছাড়াও জানা যায় সুতি থেকে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মাত্র চার কিমি। আর সুতি-১ ব্লকের নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূত্নিপাড়া গ্রামটি বাংলাদেশ থেকে মাত্র দুই থেকে আড়াই কিমি দূরে অবস্থিত। সুতি-১ ব্লক প্রশাসক এইচ এম রিয়াজুল হক এবং বিপর্যয় ব্যবস্থাপন আধিকারিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সেখ এই ভুতনিপাড়া গ্রাম পরিদর্শন করলেন।
নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শাখা নদী পার করে প্রায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে এই গ্রামটি অবস্থিত। বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক, ব্লক বিপর্যয় ব্যবস্থাপন আধিকারিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সেখ সহ আরও দুই- তিনেক আধিকারিক সাথে সুতি-১ পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মদক্ষ জিয়ারত আলী এবং মৎস্য কর্মদক্ষ রণজিৎ মণ্ডল এই পরিদর্শনে আসেন।
ব্লক প্রশাসনের টিম পদ্মার উপনদী পার হয়ে এক থেকে দেড় কিলোমিটার হেঁটে ভূত্নিপাড়া গ্রামে পৌঁছান। এই গ্রামে লক্ষ্য করা গেল যে 30 থেকে 35 টি বাড়ি রয়েছে যেগুলি খড় দিয়ে তৈরি। সকল গ্রামবাসীকে ভিডিও একসঙ্গে হতে বলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প বিষয়ে।
অনেকে বলেন যে তারা লক্ষী ভান্ডার পায় কিন্তু দু চারজন মহিলা বলেন তারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়া থেকে বঞ্চিত। তাদের বয়স জিজ্ঞাসা করা হলে বিডিও বলেন তারা লক্ষীর ভান্ডার পাবে না কারণ তাদের বয়স ষাট পেরিয়ে গেছে। পাশাপাশি বলেন যে সরকার বার্ধক্য ভাতার অর্ডার দিলেই আপনারাও পাবেন বয়স্ক ভাতা।
পাশাপাশি এই গ্রাম পরিদর্শন করার পর বিডিও আশ্বাস দেন যে আগামী দিনে এই গ্রামে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি করবেন এবং সরকারের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তর থেকে স্পেশাল জি.আর, ত্রিপল, শাড়ি বিতরণ করবেন। গ্রামবাসীরা বিডিও-র পরিদর্শনে খুব খুশি বলে খবর পাওয়া গেছে। নুরপুর বিএসএফের ইন্সপেক্টর বিডিও-র কার্যকলাপে মুগ্ধ হয়েছে বলেও জানা যায়।