Special Correspondent
global Newz,Kolkata,
Thursday, 11th Jan’24
ওয়াহিদা খাতুন, ( Wahida Khatun, West Bengal. India, a poetess, Lyricist, Teacher and a social reformer. ) , একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে সাহিত্যের শিক্ষিকা ও সম দায়িত্বে একজন কবি, গীতিকার। মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত। ২০২১ সালে অডিশনে পাস করে Zodiak Muzik House কোম্পানীর স্টাফ গীতিকার গ্রুপের একজন হয়েছেন। বাংলাভাষা থেকে প্রায় আড়াইশ প্রতিযোগীর মধ্যে পাস করা মাত্র পনেরো জনের মধ্যে উনিও একজন। কলিকাতার এক প্রকাশনী থেকে বেরুচ্ছে এক শত কুড়িটি বাংলা সনেটের সংকলন গ্রন্থ। ” ভয় ” এই পূর্ণ দৈর্ঘের সিনেমায় দুটি গান লিখেছেন। সিনেমা রিলিজড হয়েছে ২০২৩, এপ্রিলে। সিনেমা ও ইউটুবে রিলিজ হওয়া অনেক গান ইউটুবে পাবেন। অয়ন্তিকা চক্রবর্তী, বিদুষী হৈমন্তি শুক্লা, কুমার চঞ্চল, সুপ্রীতি বিশ্বাস হালদার, মৌ আচার্য, সোমিন্দ্র কুমার, মিস প্রীতি, মৌসুমী দাশগুপ্তা, শৈবাল চৌধুরী, প্রমুখ অনেকেই ওয়াহিদার গান গেয়েছেন ও গাইছেন। প্রথম প্রকাশিত বাংলা গান ” কেনো কাঁদো মা গো আমার “, সুর আর-কে-পাল, Mother voice : অয়ন্তিকা চক্রবর্তী, ও প্রথম প্রকাশিত ইংরেজি গান ” We are all brothers in the world “, Music ; Kumar Chanchal, Mother Voice : Mou Acharjee. দিয়েই সংগীতের মাঠে নেমেছিলেন। তারপর পরপর পথ চলেছে। সাহিত্যের বহু বিষয়ে কাজ করতে চান। ২০২৩, নভেম্বরে, কবিতা ও সঙ্গীত রচনার জন্য আসামে পেলেন আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পদক, মাদার টেরেজা গোল্ড এওয়ার্ড ও ড. ভূপেন হাজারিকা স্মৃতি সম্মাননা স্মারক। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, সংকলন ও ওয়েবসাইটে উপস্থিত।
———————————–
কবিতা ইয়াস
[ ইয়াস, একটি ঝড়ের নাম ]
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ওয়াহিদা খাতুন ( পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
ইয়াস হয়ে ছিনিয়ে নিলে বসন্ত-বাহার !
সমূলে বিনাশ করে গেলে অসংখ্য অঙ্কুর —-
ধূধূ প্রান্তরের মানচিত্র গড়লে তাতে কি?
রোদ আলিঙ্গন করে রোজ, বৃষ্টি আশা দেয়;
আমার শাখাপ্রশাখাগুলো প্রাণ ফিরে পায়;
নুইয়ে পড়া বিক্ষিপ্ত কুড়ি রৌদ্রস্নানে যায়;
গুটি-গুটি পায়ে বলে দেখো —- ইয়াস, মরি নি—
আমার কান্ড ভেঙেছে তবু শিকড় মাটিতে;
কে আমাকে আঁকড়ে রেখে আবৃত্য রেখেছে—
এক বিপ্লবী রূপ দেওয়ার জন্য !
সেই ঝঞ্ঝার নিশুতি ডানা—আজো কানে বাজে ;
রণক্ষেত্রের মানচিত্রটা ভূমিকম্প হয়ে —-
স্বপ্ন-সমাধিকে আন্দোলিত করে বারবার—
ফিঙে-চোখে তা দিতেই থাকি সুপ্ত আশা-বীজে।
আজ খুবলে খাওয়া রোদ মধ্যগগনের
জমা মেঘকে ধাক্কা দিয়ে হেসে বৃষ্টি ঝরায়।
জালিকাকার জলসাঘরে কাকলি-সেতার —
বেজে ওঠে আনমনা ভরা পেয়ালার ঠোঁটে ।
নবপল্লবে বিপ্লবী হাসি নাচানাচি করে—
জ্যোৎস্না-কোলে বসে দোল খেতে-খেতে বলে ওঠে—-
ওয়াও! কত লাবণ্য-রূপ ও ফুলেল শয্যা—
চারিদিকে রণসজ্জা হয়ে স্বাধীনতা-ঝান্ডা তুলে
নভোশ্চরে বার্তা পাঠায় — আমরা জিতেছি ।
ও ইয়াস, দেখে যাও তুমি এখনো মরিনি—-
বৃক্ষ কখনো মরে না ইয়াস, আগাছা মরে;
বৃক্ষের শিকড়ের টান মাটির গভীরে ।
,,,,,,,, ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
রচনাকাল : ০২/১২/২০২৩ বিকেল ৩টা বেজে ১৫ মিনিট।
————————————