নিজস্ব প্রতিনিধি,
গ্লোবাল নিউজ, কলকাতা,
৩রা নভেম্বর,২০২৩, শুক্রবার,
এবার চাষীদের কিছু কার্যকলাপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল পশ্চিম বঙ্গ কৃষি দপ্তর।
হ্যা ঠিকই শুনেছেন, এরকমই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে কৃষি দপ্তর থেকে। অনেকরই মনে একটা ভীতির সৃষ্টি করেছে! আসলে পুরো বিষয়টা না শুনলেই নই ! কৃষি দপ্তর কেন এই রকম একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করল কিংবা কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করল, চলুন জেনে নিই আসল বিষয়গুলো।
সম্প্রতি রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তর বিশেষ করে ধান ও গম চাষীদের উদ্দেশ্যে জমিতে বেশ কিছুই কার্যকলাপের উপর নজরদারি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে বলে ব্লক সহ কৃষি আধিকারিকের কাছ থেকে জানা যায়। কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর এই নজরদারি দিয়েছে দপ্তর চলুন জেনে নিই বিস্তারিত….
ধানক্ষেতের খড় ও নাড়া পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে, কারণ হিসাবে বলা হয় যে, পোড়ানোর ফলে ক্ষতিকারক গ্যাস, তাপ, ধোঁয়া, ছাইকনা উৎপন্ন হয় যা বিশ্ব উষ্ণায়ন ডেকে আনে। কান্সার, শ্বাসরোধ সংক্রান্ত ব্যাধি, নানান অসুবিধা সহ আরও অনন্যা অসুবিধায় পড়তে হয় মানুষজনকে। শুধুই যে মানুষজন তা কিন্তু নই মানে মানুষজনের সাথে সাথে পশুপাখিদের ও বহু ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
তাছাড়াও অত্যাধিক গরম, অনাবৃষ্টি, বন্যা, শীতহ্রাস, পাহাড়ের বরফ গলে গিয়ে সমুদ্রের জলোচ্ছাস, অস্বাভাবিক আবহাওয়া প্রভৃতি বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণেও ঘটে বলে জানান কৃষি দপ্তর।
এছাড়াও মাটির উপরের অংশ পুড়ে শক্ত হয়ে যায়, জৈব পদার্থ ও উদ্ভিদ খাদ্য নষ্ট হয়, এবং মাটিতে থাকা বহু উপকারী জীবাণু মারা যায়, ফলে ফসলের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।
এই সমস্ত কারণ সমূহ ছাড়াও আরও অনেক প্রকারের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় চাষী বন্ধুদের।
ফলে সুতি -১ সহ কৃষি অধিকর্তা মুখলেসুর রহমান চাষীদের স্বার্থে ধান ও গম চাষের পর অবশিষ্ট অংশ অর্থাৎ খড় বা নাড়া পুড়ানোর জন্য বারণ করে চলেছেন। তাছাড়াও জমিতে নাড়া না পুড়িয়ে পরিবেশ রক্ষা করার আহ্বান জানান মুখলেসুর রহমান।
সহ কৃষি অধিকর্তা সুতি-১ ব্লক দ্বারা জনস্বার্থে প্রচারিত।