Special Correspondent,
Globalnewz.online, kolkata
16th Jul’23, Sunday
নিজেকে ভালো রাখার সহজ উপায়
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব।সমাজের একক হল মানুষ।তাই সমাজ ব্যাতিত মানুষ এর অস্তিত্ব যেমন অকল্পনীয় ঠিক তেমনি মানুষ ব্যাতিত সমাজের অস্তিত্বও কল্পনা করা যায় না।অর্থাৎ সমাজের ভালো-খারাপ সবকিছুকে সাথে নিয়েই আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে।এই দিক থেকে বলা যায়,সমাজের সাথে মানুষের এক গভীর সংযোগ সম্পর্ক রয়েছে।আলো-অন্ধকার, রাত-দিন এই গুলো যেমন প্রকৃতির নিয়ম ঠিক তেমনি ভালো-মন্দ,সুখ-দুঃখ এই গুলোও সমাজের নিয়ম।এই নিয়মের বাইরে আমরা কোনোভাবেই যেতে পারবো না।এই নিয়ম গুলো হল সৃষ্টির সূত্র।তাই এই সূত্র অনুযায়ী আমাদেরকে ভালো পরিস্থিতির পাশাপাশি খারাপ পরিস্থিতিকেও মেনে নিতে হবে,সুখের পাশাপাশি দুঃখকেও আপন করেনিতে হবে।কিন্তু তবুও আমরা সর্বদাই একটু সুখের সন্ধানে ঘুরে বেড়াই,একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পছন্দ করি।তাই অনেক সময় সমাজের কঠিন বাস্তবতাকে সেইভাবে মেনে নিতে পারিনা।সবসময় চাই কি করে একটু ভালো থাকতে পারবো।ভালো থাকা মানে কেবল শারীরিকভাবে ভালো থাকা নয়,সামাজিক এবং মানসিকভাবেও ভালো থাকাকে বোঝায়।তাই এই সমাজে শারীরিক-সামাজিক এবং মানসিকভাবে কিছুটা ভালো থাকতে গেলে কিছু উপায় মেনে চলতে হবে।আশাকরি এই উপায় গুলো মেনে চললে জীবনে কিছুটা হলেও ভালো থাকা সম্ভব হবে।উপায় গুলো হল-
১)’কর্মই ধর্ম’- এই নীতিকে সবসময় মেনে চলা।ভালো থাকতে হলে জীবনে কর্ম করে যেতে হবে।
২)’পার্সোনাল লাইফ’ এবং ‘প্রফেশনাল লাইফ’- এই দুটি বিষয়কে একসঙ্গে ব্যালান্স করে এগিয়ে যেতে হবে।দুটি বিষয়কেই যথাযথ ভাবে গুরুত্ব দিতে হবে।কম-বেশির দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে হবে না।
৩)এই সমাজে মা-বাবার মতো যেমন আপনজন আর কেউ নেই ঠিক তেমনি স্বামী/স্ত্রীর মতো ভালো বন্ধুও এই সমাজে আর কেউ নেই।তাই একজন ছেলে-মেয়ের উচিত উভয়কেই ব্যালেন্স করে চলা।
৪)এটা সবসময় মনে রাখবেন যে, আপনি সবাইকে খুশি করতে পারবেন না।আবার আপনাকেও সবাই সমানভাবে ভালোবাসবে না।
৫)আপনার পার্সোনাল কথা বা আপনার দুর্বলতা গুলো কাউকে জানাবেন না।এবং আপনার শত্রুকে কখনো দুর্বল ভাববেন না।এছাড়াও বেশি বন্ধুসঙ্গ করবেন না অর্থাৎ বন্ধুদের বেশি বিশ্বাস করবেন না।
৬)সবসময় চেষ্টা করবেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে পিকনিক করা, বেড়াতে যাওয়া প্রভৃতির প্ল্যান করার।যতটা সম্ভব হাসি মুখে থাকার চেষ্টা করবেন।
৭)আবেগ বা রাগের মাথায় কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন না। ঠান্ডা মাথায় সব কিছু ভেবে চিন্তে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।খুব রাগ হলে ‘টাইম আউট’ পদ্ধতি অবলম্বন করবেন।
৮)অমিতব্যয়িতা অর্থাৎ আয়ের থেকে বেশি ব্যয় করবেন না।
৯) বিজ্ঞানের পাশাপাশি ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রাখুন।ঈশ্বর এর জন্য মনে ভক্তি রাখুন দেখবেন সামাজিক ও মানসিকভাবে খুব ভালো থাকবেন।
১০)পরচর্চা,নেশা,অপরাধ মূলক কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।এবং নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন।শারীরিকভাবে ভালো থাকতে হলে সকাল সকাল উঠে শরীরচর্চার অভ্যাস করুন।
জয়দেব বেরা
(তরুণ কবি,বই লেখক,প্রাবন্ধিক, সমাজকর্মী,সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক এবং গেস্ট লেকচারার, সমাজতত্ত্ব,
সেবাব্রত ইনস্টিটিউট অফ নার্সিং এবং গভর্মেন্ট কলেজ অফ নার্সিং,উলুবেড়িয়া)