আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হলো উত্তর নয়া বাহাদুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়।
নিজস্ব সংবাদদাতা, সুতি
21 February 2023
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি পর এই গান রচিত হয়েছিল। আব্দুল গাফফার খান এর এই গানের মধ্য দিয়ে প্রতিবছর পালিত হয় ভাষা দিবস। ভাষার জন্য রক্তক্ষরণ পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোথাও কোনদিন হয়নি সেই কথা মাথায় রেখে ইউনেস্কোর তরফে একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আজকের দিনেও তার অন্যথা হয়নি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হলো উত্তর নয়া বাহাদুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হলেও ৪৪ নম্বর উত্তর নয়াবাহাদুরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এদিন ভাষা দিবস এবং ভাষা শহীদ সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই হয় উদ্বোধনী সংগীত এরপর রবীন্দ্রসংগীত ও নৃত্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে সবার মন জয় করে ছোট্ট শিশুদের সঞ্চালনা।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অরিন্দম দত্ত মিড ডে মিল ডিও রাজকুমার দাস ইয়মি চঞ্চল কুমার বিশ্বাস জিয়ারত আলী সহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকাগণ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি ও সদস্যগণ। এদিন ছোট্ট শিশুদের এমন অসাধারণ পরিবেশনা দেখে আপ্লুত হন এইচ এম রিয়াজুল হক। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে এই ভাষা দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন এবং মাতৃভাষা সম্পর্কে তিনি জানেন যারা নিজের ভাষাকে সম্মান করবে তারা পৃথিবীর সমস্ত জায়গায় সম্মান পাবে।সবার শেষে তিনি বাংলা ভাষাকে গোটা বিশ্বজুড়ে প্রসারিত করতে উদ্বুদ্ধ করেন আগামী প্রজন্মকে।এদিন উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষিকারা তাদের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে ভাষা দিবসের মর্মস্পর্শী ইতিহাস ব্যাখ্যা করেন। কেবলমাত্র ভাষার জন্য লড়াই করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে পাঁচ জন শহীদ হয়েছিলেন তাদের ব্যাপারেও বিস্তারিত আলোচনা করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে ছোট ছোট কচিকাঁচারাও তাদের ক্ষুদ্র পরিসরে ভাষা দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। বাংলাভাষাকে পৃথিবীতে সবচেয়ে মিষ্টি ভাষার তকমা দেওয়া হয়েছে সেই ব্যাপারেও এদিন বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।