নিজস্ব প্রতিবেদক: সুতি
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর
আবাস যোজনার সুপার স্পেশাল চেকিং- এ সুতি -১ ব্লকের বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক।
আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতির খবর উঠে আসে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাদ যায়নি মুর্শিদাবাদ জেলাও। মুর্শিদাবাদের সুতি ১ নম্বর ব্লকের আবাস যোজনা নিয়ে কারচুপির অভিযোগ উঠে এসেছে প্রশাসনের কানে। তার বিরুদ্ধে বারবার কঠোর ব্যবস্থা নিতে দেখা গিয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের। কখনো রাতের অন্ধকারে বিডিও সাহেব বেরিয়ে পড়েছেন পুলিশ অফিসারকে নিয়ে আবার কখনো আবাস যোজনা প্রাপকদের বাড়িতে গিয়ে খতিয়ে দেখে এসেছেন তাদের পারিবারিক অবস্থা।
ঠিক তেমনি এবার পরিদর্শন করতে গিয়ে সুতি এক নম্বর ব্লকের বংশবাটী গ্রাম পঞ্চায়েতের রাতুরি গ্রামে পাওয়া গেল এক ঝাঁ চকচকে মার্বেল বসানো বাড়ি। এদিন পরিদর্শনে এসেছিলেন সুতি এক নম্বর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এইচএম রিয়াজুল হক।
তিনি এসে রীতিমতো অবাক হয়ে যান। কিভাবে নাম উঠলো এই বাড়ির মালিকের আবাস যোজনা তালিকায় তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন পঞ্চায়েত এবং অঞ্চল স্তরের নেতাকর্মীদের কাছে। সেই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দেন তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করে দেখবেন। এমন অন্যায় ধরা পড়লে তিনি কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবেন বলেও জানান। তালিকা ধরে ধরে প্রত্যেকের নাম অনুযায়ী বাড়িতে গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করবেন বলে হুশিয়ারি দেন এইচ এম রিয়াজুল হক। এদিকে যে উপভোক্তা পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনায় নিজের নাম তুলেছেন তাকেও ভৎসনা করেন বিডিও সাহেব। স্থানীয় গরিব মানুষের দাবি টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চলের সদস্যরা বড়লোকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন আবাস যোজনার তালিকায়। বাদ পড়েছেন দুস্থ অসহায় মানুষরা। সরকারের খাতায় তারা বড়লোক। তাই ন্যায্য বিচারের দাবি জানিয়ে তারা এদিন বিডিও সাহেবের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বিডিও আবাস যোজনার পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেখার আশ্বাস দিয়েছেন সাধারণ মানুষকে।আজকের এই কর্মসূচিতে যোগ দেন বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক, সহ ই.ও.মি চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, ইলেকশন ক্লার্ক তারিক আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ যতীন বাস্কি এবং আনিসুর রহমান, বি.ডি.এম.ও পিনাকি চ্যাটার্জি।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হারুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্য্য নির্বাহী আধিকারিক মক্তারুল ইসলাম, বংশোবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব রফিকুল ইসলাম সহ অন্যান্য ব্লক এবং পঞ্চায়েত কর্মীবৃন্দ।