বিশেষ প্রতিনিধি কলকাতা, globalnewz.online.
প্রেম
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ওয়াহিদা খাতুন ( ভারত )
সেই শৈশব থেকেই শুনে আসছি প্রেম শব্দটা,
কিন্তু আমি আজও তাকে দেখলাম না।
অথচ এই প্রেমের নেশায় ছুটেছি বহুবার,এক হৃদয় থেকে অন্য হৃদয়ে পতঙ্গ হয়ে বারবার–
যতটুকু খুঁজেছি মনে হয়েছে কানামাছি খেলা,
ছুঁলেই শেষ।
হাটে-বাজারে,ঘরে, বাইরে, সবখানেই প্রেমের ফিসফিসানি,
কিন্তু আমার লাইফে এখনো প্রেম আসেনি।
যারা ভীড় করে চারপাশে গুনগুন করেছিল,
আমি তাদের মধ্যেও প্রেম দেখিনি।
মনে হয়েছিল কতগুলো পথ-ভোলানো আলেয়া।
তাই তাদের পিছু নিইনি।
আসলে প্রেম তো আসেই নি।
চারিদিকে কত কলরব,প্রেম নাকি ভাঙছে কাঁটাতার,
পলাতক প্রেমিক-প্রেমিকা আরব থেকে সাইবেরিয়ার।
শুধু আমার কাছেই ধরা দিলো না, আজও একটি বার।
তবুও এক অপেক্ষার পদধ্বনি দূর হতে শুনতে পাই–
হয়তো কোনো পরিব্রাজক কিম্বা বেদুইন।
প্রেমের পিয়ালা হাতে, চোখে চোখ রেখে বলবে —
আমি ছিলাম তোমারি অপেক্ষায়,
এসো মরুদ্যানের সুপ্ত-ছায়ায়।।
বি-দ্র: ওয়াহিদা খাতুন ( Wahida Khatun) ভারত, দুটি দায়িত্ব সমানভাবে পালন করেন। বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষিকা, একই সাথে সম দায়িত্বে লেখিকা। Zodiak Muzik রেকর্ডিং কোম্পানির একজন স্টাফ গীতিকার। ২০২১ সালে বাংলাভাষায় গীতিকার নেবার অর্ডিশনে পাস করা মাত্র মোট ১৫ (পনের) জন গীতিকারের মধ্যে ইসলাম ধর্মের পরিবার থেকে তিনি একমাত্র পাস করেন। ও তারপর কোম্পানি বের করে ২০২১ সালে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের সময় নতুন সাহসী ভাবনার দেশপ্রেমের সংগীত ” কেনো কাঁদো মা গো আমার ” ( Keno kando maa go amar ) গানটি। ইউটিউবে বেরোয়, ও ফেসবুকেও বেরোয়। হাজার-হাজার ভিউয়ারের কাছে পৌঁছে যান রাতারাতি। বাংলাদেশেও প্রচুর জনপ্রিয়তা পায়। তারপর এই কোম্পানি এঁর সাক্ষাতকার নেয়। সেটাও বেরোয়। একই সাথে world music melodies ইউটিউব চ্যানেলেও প্রচুর গান বেরুচ্ছে। আরো অনেক কোম্পানি ও চ্যানেল চাইছে এঁর গান। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখেন। we are all – Wahida Khatun ( We are all brothers in this world – ইংরেজি গানটি লিখেও তিনি অবাঙালাভাষিদের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পৌঁছে গেছেন অনেক খানি। একজন নারী তথা ইসলাম পরিবার থেকে এই ঘটনা সত্যি বিরল ঘটনার মধ্যে পড়ে, এই সময়ের জটিল সামাজিক পরিপ্রেক্ষিতে, সেটাই বলছি।।তাঁর কঠিন যুদ্ধ নিয়ে এগুনো, সেগুলি ভাবনার বাইরে।
কলকাতার একটি বিখ্যাত প্রকাশনী ওয়াহিদা খাতুনের প্রায় একশত কুড়িটি বাংলা সনেট বের করছে। সময় মত কবির দ্বারা প্রুফ দেখা হয়ে উঠলে ২০২৩ কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলায় বেরুতে পারে। প্রকাশক চেষ্টার ত্রুটি করছেন না। এবার প্রুফ দেখার গতির উপর এই বই বেরনোর সময় নির্ভর করছে।
সাহিত্যের নানা দিক নিয়ে পরপর কাজ করছেন।
…………………………………………….