প্রধানমন্ত্রী তিনটি যোজনার গোপন রহস্য জানুন
নিজস্ব প্রতিনিধি, globalnewz.online
সুতি, 29 নভেম্বর 2022
সরকার জনগনের সুখের জন্য যেসব পথ বের করেছেন, সেইগুলি কতটা আমরা জানি। জানলেও অনেক খুঁটিনাটি জানিনা অনেকেই। তাই ঠকতে থাকি। আমাদের জানতে হবে অনেক কিছু। শত-শত প্রকল্পের খুঁটিনাটি। না হলে আমরা আমাদের অধিকার লাভ করতে পারিনা।
এখন জানবো তিনটি প্রকল্পের বিষয়।
সোস্যাল অডিট এর দ্বারা এটি সম্পন্ন করা হয়। এটি যে ৩টি ধারায় পালন করা হয়, সেই ধারাগুলি সহ আরো সহযোগী বিষয় জানানো হোলো।
(ক) মহাত্মা গান্ধী জাতীয় সুনিশ্চয়তা কর্ম প্রকল্প (খ) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীন (গ) জাতীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্প।
অঞ্চল ভিত্তিক ৮-১০ জনকে স্কিমগুলি দেখাশোনা করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। এঁদেরকে বলে VRP, Village Resource Person বা গ্রামীন সম্পদ কর্মী।
(ক) মহাত্মা গান্ধী জাতীয় কর্ম সুনিশ্চয়তা প্রকল্প :-
এর জন্য আমাদের জানতে হবে এইগুলি।
(১) লোকেদের কাছে কি জব কার্ড থাকে?(২) জব কার্ডগুলি কি আপডেট হয়েছে? (৩) কাজের জন্য আবেদন করলে আবেদন কি রেজিস্টারে নথিভুক্ত করা হয়?(৪) যদি নথিভুক্ত করা হয় তাহলে কি প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ দেওয়া হয়? (৫) কাজের জায়গায় মাষ্টার রোলগুলি কি রক্ষনাবেক্ষন করা হয়? ( ৬ ) মজুরি প্রদানে বিলম্বিত হলে আর্থিক ক্ষতিপূরণ কি দেওয়া হয়? ( ৭ ) ১৫ দিনের মধ্যে কাজ দিতে না পারলে কি বেকার ভাতা দেওয়া হয়? ( ৮ ) শ্রমিকদের কি মজুরি প্রদানের রসিদ দেওয়া হয়? ( ৯ ) কাজের জায়গায় কি পানীয় জলের ব্যাবস্থা ছিল? (১০ ) সুপারভাইজারগন কি প্রশিক্ষন প্রাপ্ত? ( ১১) যারা কাজ করেনা, তাদের কি অর্থ প্রদান করা হয়? ( ১২ ) ঘুষের বিনিময়ে কি কোনো কাজ করা হয়?
(খ ) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীন :-
বাড়ি তৈরির জন্য মঞ্জুর করা হয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা প্রতি বাড়ি।
সঠিক লোক পেয়েছে কিনা। সঠিক জায়গায় হয়েছে কিনা। এগুলি দেখতে হবে। ৩টি কিস্তিতে দেয় এই টাকা। ৩টি কিস্তির মধ্যে প্রার্থী ব্যাক্তি কতগুলি কিস্তি পেয়েছে। কোনো গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বা প্রধান টাকা নিলে কত টাকা সে নিয়েছে। বাড়ি তৈরি করতে কোনো গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য কোনো দূর্নীতি করেছে কিনা।
(গ) জাতীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্প :-
এর ৪টি স্কিম আছে। (১) বার্ধক্য ভাতা –৬১-৭৯ বছর। (২) ৮০— বাকি জীবন (৩) বিধবা ভাতা (৪) প্রতিবন্ধী ভাতা
এইভাবে কাজ হবে।
VRPগন প্রতি ব্লকের ঘর-ঘর থেকে তথ্য আনবে। এবং সভা হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবে সব জনগন, ও তাদের সংগে ব্লক ভিত্তিক অফিসার ও এই বিভাগীয় সব কর্মী থাকবে। এখানে VRP রা তাদের তথ্য পাঠ করবে। এবং গ্রামসভাতে মেম্বাররা আলোচনা করবেন, কীভাবে সব সমস্যা সমাধান করা যাবে।
বছরে মিটিং হয় ৩ টা। এর মধ্যে সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে বুঝতে হবে। বোঝাতে হবে। ও কাজের নিয়মে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
আমরা এই সত্যগুলি জানি না বলে সরকারি বিভাগ থেকে কারো-কারো দ্বারা বা নানা রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের থেকে নানা প্রক্রিয়াতে ধোঁকা খাই। সকলেই আমাদের সাথে অসৎ আচরন করেন, তা নয়, কিন্তু আমাদের সতর্ক হতে হবে নিজেদের অধিকার নিয়ে।
এবার থেকে আমরা সকলে সজাগ হবো। আসুন।