বিশেষ প্রতিনিধি,
Global Newz, Kolkata,
কবিতা : নারী সোহাগের ধর্ম
ঋদেনদিক মিত্রো ( ভারত )
|| নিচে কবিতার মাঝে-মাঝে বিজ্ঞাপন বা ফাঁক থাকলে সেগুলি অতিক্রম করে একদম শেষে গিয়ে পুরো লেখা দেখে নিন আগে, তারপর পড়ুন। অনেক সময় চোখের ধাঁধায় একাধিক বিজ্ঞাপনে বা কোথাও ফাঁকা স্থানে মনে হয় লেখা আর নেই, কিন্তু সেটা ভুল।||
বিশেষ সংবাদ:-
কবিতাটি যাঁর দ্বারা পরীক্ষিত ও মুদ্রনের পূর্বে প্রশংসিত : শীষ মহাম্মদ, এক সময়ের কলকাতার বিখ্যাত দৈনিক “ওভারল্যান্ড” সংবাদপত্রের সাংবাদিক, বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলার সাংবাদিক সংস্থার সদস্য, কবি, সম্পাদক, শীষ মহাম্মদ, মুদ্রিত “নবারুণ” পত্রিকা, ও প্রধান আডমিন “Potrika Nabarun” হোয়াটসাপ গ্রুপ পত্রিকা, একজন মুখ্য উপদেষ্টা, “নওদা বইমেলা”, মুক্ত চিন্তার সমাজ সংস্কারক, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত, উনার মুক্ত চিন্তার কাজের জন্য “আনন্দবাজার পত্রিকা” সংবাদ — “চাঁদা আদায় থেকে প্রতিমার বায়না, সব দায়িত্ব শিস মহম্মদের”, শারদীয়া উপলক্ষ্যে মুর্শিদাবাদ জেলা পৃষ্ঠা —২, ১২ অক্টোবর ২০১৮।
|| কবিতাটি ডাক্তারি ও মনস্ত্বাত্বিক ব্যাখ্যায় লেখা সামাজিক কুসংস্কার দূর করার জন্য। সেই অনুযায়ী শব্দ ও ভাবনা ও যুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। সংকীর্ণ মানসিকতা নিয়ে কেউ পাঠ করে তাঁদের পূর্বের ধারণায় আটকে থাকলে এইজন্য কবি বা কতৃপক্ষ, কেউ দায়ী নয়। কারণ, এটি জ্ঞানত সামাজিক উন্নতি বিকাশের জন্য লেখা ও প্রকাশ করা হয়েছে, ভিন্ন ভাবনার পাঠক-পাঠিকা আলোচনার মধ্য দিয়ে নিজেদের বিশ্বাস ও অবিশ্বাস নিয়ে চিন্তায় সঞ্চারণশীল হবেন, এইভাবে চিন্তায় বিবর্তনের ধারা এগুবে, সেই জন্য প্রয়াসী হয়ে কবি নিজ বিবেচনায় লিখেছেন ও পত্রিকা দপ্তর সৎ উদ্দেশ্যে বিবেচনা করে প্রকাশ করেছেন। কারণ, এর বাইরে লেখা প্রকাশের কোনো ধারা বা আইন বা পন্থা নেই।||
[ A research Bengali poem like “Nari sohager dharmo”, i.e. ” Such religions regarding to sensuality to women”, by Ridendick Mitro, India.
This poem describes that such types of godmen on behalf of some religions dominate the freedom of women in the name of social works within religious administration.
But the poet claims with logic that this tendency is a hiding sexuality in those religious administrators and that for they get satisfaction thinking it that all the girls and adult women are there deep attraction without difference.
This is medically and psychologically true.
And this frame is alive still now traditionally. The general people fall in this image of religions and spoil their free thought powers and get doomed day by day. Because that, this trend of belief in the religious administrators is the main point to remove free thought of the people and then the other powers of people’s thinking get damaged silently.
And in this process people loss their growth of thinking, sense of judgment and power to protest the errors and stubbornness. So, this poem is written to remove the social darkness as it belived by the editor in self knowledge. So, it has been published to get the readers feedback.
Cause, what is perfect in order to perfection is considered throughout criticism and thinking exchange. ]
—————————–
কবিতা : নারী সোহাগের ধর্ম
ঋদেনদিক মিত্রো ( ভারত )
ধর্মটা কী, — যৌনাঙ্গ,
পুরুষের নয়, নারীর,
ওটা নিয়েই ধর্ম করে
কারা ভিতর হাঁড়ির?
বিশ্ব যখন যুগেযুগে
দুর্দশাতে কাঁদছে,
ধর্মগুরু তখন শুধু
নারী নিয়ে ভাবছে।
নারীর পোষাক, নারীর দেহ,
কেমন করে থাকবে,
নারী কেমন শরীর নিয়ে
সবার মাঝে হাঁটবে।
নারী যদি ভিন্ন ধর্মে
বিয়ে হতে চায়,
ধর্ম তাকে নানা চাপে
কায়দাতে কাঁদায়।
আরো এদের দাবী আছে,
প্রেম প্রণয়ে ইচ্ছে —
এতেও নারীরা পরাধীন
ধর্ম বলে দিচ্ছে।
ধর্মগুরুদিগের মাথায়
সকল নারীর অঙ্গ —
ঢুকে আছে গভীরভাবে,
ব্যাপারটা নয় মন্দ।
নারী নিয়েই ব্যাস্ত তারা,
বোকা পুরুষ বলে —
মেয়েরা যেন ধর্মগুরুর
অধীনতে চলে।
শিক্ষিত সব পুরুষগুলি
ধর্মগুরুর ভেড়া,
এদের আবার কোন্ নারীরা
ভাবে পুরুষ সেরা।
বাবা মায়েরাও একই রকম
ধর্মগুরুর দাস,
নিজের মেয়ে ও বউকে লাগায়
ধর্মগুরুর ফাঁস।
ধর্মগ্রন্থ মানে হল
ধর্মগুরুর লোভ,
নারীদেরকে নিয়ে তাদের
নানাভাবেই ভোগ।
যে-নারীদের পায় না কাছে,
তাদের পেতে চেয়ে
অনুভবে ভাবতে থাকে
ধর্মের পথ বেয়ে
সেই নারীরা হয়ে গেল
তাদের নিজের ধন,
বিষয় মনোস্তাত্বিক খুব,
চিন্তার ধরণ।
সেই নারীরাও মজে থেকে
ধর্মের মন যোগায়,
যে-ধর্মর রীতি নীতি
নারীর আলো নেভায়।
দেশ বিশ্বে এমনি চলে
নারীর প্রতি চাপ,
অনেক ধর্মে অনেক রকম
চলে নারীর মাপ।
নারী তখন বোকা সেজে
নিজের বুদ্ধি থিতায়,
এমনি করেই নারীর ছায়া
ধর্মের স্বাদ মিটায়।
নারীও তখন ক্রমে-ক্রমে
দেয় ধর্মের জয়,
বাধ্য থাকে তা করতে,
মনের ভিতর ভয়।
ধর্মের জয় করলে তখন
ধর্মগুরুর বাজার
চলবে ভালো দীল মজিয়ে,
সবার প্রেমিক সাজার।
দুধেরই স্বাদ ঘোলে মেটে,
এটাও কিসে কম,
এমনি করেই কারা যেন
চালায় ধর্ম ক্রম।
যে-ধর্মের গুরু যারা,
সেই ধর্মের নারী —
সেই ধর্মগুরুর কাছে
ঘরের ভাতের হাঁড়ি।
ওষুধ ভেজাল, খাদ্য ভেজাল,
জল ও হাওয়া দুষন,
অত্যাচারির দল লুটে নেয়
সেরা পদের ভূষণ।
চলছে চুরি, খুনোখুনি,
যুদ্ধ, ধ্বংস, ক্ষতি,
শিক্ষা গেল নর্দমাতে,
বিশ্বের দুর্গতি।
ধর্ম তখন থাকে নাকি
নারীর পোশাকটায়?
কোন্ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ
বাইরে দেখা যায়।
ধর্ম মানে সেটাই নাকি,
মধ্যযুগে বাস?
মানুষ মুক্ত বোধে জন্মে
পায় না খোলা শ্বাস।
ধর্ম মানে সেটাই নাকি,
ধর্মের ছাপ দিয়ে
কেউ যদি জারি করে কিছু,
নেবেই মানিয়ে?
এরাই আসল উগ্রপন্থী,
সবাই করো তাড়া,
যে ধর্মেই থাক এই সব,
বিশ্বে আনো সাড়া,
নতুন করে বিশ্বে উঠুক
নতুন ধর্মোদয়,
নারী জাতির স্বাধীনতা
বিশ্ব করুক জয়।
হাজার রকম প্রতারণা,
অবিচার, মস্তানি,
নেশা দ্রব্যে মারছে মানুষ,
ক্ষমাহীন ভ্রষ্টামি।
এসব নিয়ে ধর্মগুরু
এবং চ্যালার দল,
এক্কেবারে বোবাকালা,
আচ্ছা গ্যাঁড়াকল।
যৌবনটা আছে এমন
সকল নারী তাদের,
এরাই হল ধর্মগুরু,
এরাই আসল কাফের।
ঐ যে আমি বলে ছিলাম,
ধর্মের আইন দিয়ে
নারীদেরকে কাছে পাওয়া,
ভাবনায় রসিয়ে।
ধর্ম মানে বেশ্যাপট্টি,
সেটাই মনে হয়,
যার ভিতরে নারীর সকল
অঙ্গ যেন রয়।
সেখানেতে যায়েন শুধু
সে সব ধর্মগুরু,
কল্পনাতে দিন রাত্রি
যৌনতাতে শুরু।
সুক্ষ্ম বিচার নিয়ে ভাবো,
এর ভিতরের রস,
ধর্মে কেন কেবল ধরে
নারীর মাঝে দোষ।
আর কতদিন এসব ধর্মে
থাকবে দাসানুদাস,
নিজেদের বোধকেই দিয়ে যাও
সদ্য কাঁটা বাঁশ।
কার পরিবার অভিজাত,
পাওয়া উচিত মালা,
প্রমাণ হবে কাদের বাড়ির
নারী বোবাকালা।
তেমনি করেই সমাজ বাঁধা,
আজব নিয়ম ছল,
ভাঙতে সবে কায়দাবাজের
সকল গ্যাঁড়াকল।
লজ্জা শুধু নারীর ভূষণ,
পুরুষ কি নির্লজ্জ,
পুরুষরাই করছে স্বীকার
নিজেদেকে বর্জ্য।
এই বোকামি শিখলে কোথায়,
শিখিয়েছে তো ধর্ম,
ধর্ম শুধু বোকা বানায়,
তার ফায়দার জন্য।
সবাই ভাবো একটি কথা,
বলছি এখন লিখে,
হাঁক দিয়ে সব বলে ওঠো
সাহসে চারদিকে —
বিশ্ব থেকে আমার আমি
পেলাম আমিত্ব,
তাকেই অবহেলা করে
হবো কার ভৃত্য?
আমার আমিই আমার ধর্ম,
কারা ভ্রান্ত বলে,
যারা চায় আমার বোধকে
রাখতে পায়ের তলে!
তারা কেমন করে আমার
পথপ্রদর্শক,
মানুষ জন্ম নিয়ে কেন
হবো বা গর্ধভ?
যে যে ধর্ম দিয়ে রাখে
স্বাধীন বোধে বেড়া,
সে সব ধর্ম আইন কী করে
হতেই পারে সেরা।
প্রাচীন কালে অনেক কিছু
ভাবনা ছিল ভুল,
সভ্যতারই ক্রমিক জ্ঞানে
সব হয় নির্মূল।
একবিংশ শতকে তো
বুঝেছি সব দিক,
কোনটা কেন কী কারণে
ঠিক বা বেঠিক।
এই যুগেও থাকবে কেন
মধ্যযুগের শাসন,
রুখতে নারীর স্বাধীনতা
আছে নানান ত্রাসন?
কেন থাকে ধর্ম, জাতে
আজব টানাটানি,
মাথার উপর চাপিয়ে দিয়ে
ধর্মগুরুর বানী।
কিংবা কেন সরকারি আইন
থাকবে আজব রকম,
মানুষ কেন পরস্পরে
করতে থাকে জখম।
মানবজাতি গড়বে এবার
নতুন ধর্মগ্রন্থ,
মানবে সেটাই মানবজাতি,
কী সুখ অফুরন্ত।
ধর্ম আসুক পৃথিবীতে
মুক্ত চিন্তাধারা,
সেই জন্য হও সকলে
সাহস নিয়ে খাড়া।
নারীর স্পর্ধা বেড়ে গেল,
ধর্ম, সমাজ ক্রুদ্ধ,
লুটেরাদের স্পর্ধা বাড়ে,
ধর্মের বাকরুদ্ধ।
নারীর প্রতি জুলুম করে
ধর্ম দিয়ে কারা,
চলো, সবাই তাদের করি —
উলটপালট তাড়া।।
About the poet :
ঋদেনদিক মিত্রো ( Ridendick Mitro ), পেশায় কবি-উপন্যাসিক-গীতিকার-নিবন্ধকার, ইংরেজি ও বাংলাভাষায়, এবং স্প্যানিস ভাষা শেখবার পরে সম্প্রতি এই ভাষাতেও সাহিত্য লেখা শুরু করছেন। পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।