বিশেষ প্রতিনিধি, চন্ডিতলা,
গ্লোবাল নিউজ, হুগলি
২১ জানুয়ারী,২০২৪, রবিবার।
নিজের বোনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বাড়ি ছাড়া করে বোনের বাড়ির সর্বস্ব লুট!
হুগলি,চন্ডীতলা থানা:অভিযোগকারিণী: আমার ভাইয়ের থেকে কয়েক লাখ টাকা পাওয়া যায় সেই টাকা চাইলে সে দিতে অক্ষম বলে জানায় এবং তার একটি বাড়িসহ জায়গা আমার স্বামীর নামে লিখে দেয়। কিন্তু সেই বাড়ি আমাদের না দিয়ে মুর্শিদাবাদের একটি পরিবারকে ঢুকিয়ে দেয়।বাড়ি হস্তান্তর করতে বললে মুর্শিদাবাদের সেই পরিবার আমাকে প্রচন্ড মারধর করে চুল টেনে ছিঁড়ে দেয়, ফলে আমি অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা অনুযায়ী আমার নিজের ভাই সেখ আক্রামুল আলি টালি দিয়ে আমাকে মারতে এলে সেই টালি আমার ভাবীর মাথায় লাগে রক্ত বের হয় এবং সেটাকে আরও বাড়াবাড়ি করতে তারা মুরগি জবাই করে মুরগির রক্ত ভালোকরে মাথায় মাখিয়ে নেয় এবং আমার নামে মিথ্যা মামলা দেয়। আমি প্রায় দুই মাস যাবৎ বাড়ির বাইরে থাকার সুযোগে আমার বাড়ি থেকে দরজা ভেঙে লুট করে ১৯০ গ্রাম সোনা ও ৮০ হাজার টাকা।ঘটনাটি ঘটেছে চন্ডীতলা থানার কৃষ্ণপুর দক্ষিণ পাড়ায়।
আসবাবপত্র লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে রয়েছে, দরজা-জানালা ভাঙা, আলমারি ভেঙে চুরি ১৯০ গ্রাম সোনার গহনা রূপো সহ নগদ ৮০ হাজার টাকা । ৫৬ ইঞ্চি LED টিভি, ফ্রিজ সহ জামাকাপড়, লেপ কম্বল, কাসার পিতল বাসন , বাড়ির জমি ও দোকানের দলিল উধাও। সূত্রের খবর,আক্রামুল আলি বাড়ি থেকে দলীল চুরি করে সেলিম মল্লিকের নামে রেজিষ্ট্রিকৃত বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে বিদ্যুৎ অফিসেও যায় বলে জানা যায়।
(সেখ আক্রামুল আলি)
অভিযোগকারিণী এই লুটের তীর তার ভাই সেখ আক্রামুল আলির দিকে ইঙ্গিত করলেও এখনও অধরা সে।
পুলিশ তদন্ত করলেও এখনও অধরা সেই দুষ্কৃতী। এখনও সেই দুষ্কৃতী কেন গ্রেফতার হলো না সেই প্রশ্নই উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তাহলে কি পুলিশের গাফিলতির কারণে সর্বস্বান্ত হয়েই থাকবে সেই পরিবার!!! এখনও ফিরে পাননি কোন জিনিসপত্র।এই ধরণের ঘটনা ঘটলে তো মানুষের বেঁচে থাকায় বড় দায় হয়ে দাঁড়ায়! মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্যের।